বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে আগামী শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রোববার ভোরের মধ্যে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়ে মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষ দুশ্চিন্তায় আছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সতর্কতা সংকেত বাড়লে সৈকতের একাধিক পয়েন্টে লাল নিশানা (পতাকা) উড়ানো হবে। তখন সমুদ্রে নেমে পর্যটকের গোসল নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেহেতু টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আঘাত হানতে পারে বলা হচ্ছে, তাই এখানকার লোকজনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্কও বেশি। তবে আমরা ইতিমধ্যে প্রতিটা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে লোকজনকে সচেতন করার কাজ শুরু করেছি। অর্ধশতাধিক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা ও পরিস্থিতি দেখে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে।