৪৮ বছর আগে জাতির জনক ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যাকাণ্ডের পর অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমসহ তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান। তিনি ওই সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রুবায়েত জামান।
তিনি বলেন, তথ্য যাচাই করছি, গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে। এজাহারে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ও জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহের বীর বিক্রমের নির্দেশে জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল নাজমুল হুদা ও কর্নেল এ টি এম হায়দারকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে শুধু ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাবেক মেজর আব্দুল জলিল জীবিত আছেন। তাকেই আসামি করা হয়েছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জাসদ নেতা লে. কর্নেল আবু তাহেরকে (অব.) হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলার এই তিন আসামিই মারা গেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৮৩ দিন। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের পর সেনা কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একটি অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ওই সময় সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে (পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) গৃহবন্দি করা হয়।
৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান হয় সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা আবু তাহেরের নেতৃত্বে। তখন মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। ওই সময় খালেদ মোশাররফসহ তাঁর সঙ্গীদেরকে হত্যা করা হয়।