আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বরাদ্দ কমে যাচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রকল্পটিতে ৯ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও চলতি অর্থবছর রূপপুরকে দেওয়া হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। সরকারের বৃহৎ এ অবকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ কমছে ৩ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের এডিপি অনুমোদন পাওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নয়া এডিপি অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। আসছে অর্থবছর কেন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে, বিষয়টি জানতে কথা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তারা বলেন, বাজেটে বড় অঙ্কের টাকা নেওয়া হলে পুরো টাকা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকে। পুরো টাকা ব্যয় না হলে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। বিদেশি ঋণের টাকা হওয়ায় জরিমানা গুনতে হয়। সে কারণে আগামী বছর কম টাকা চাওয়া হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার ঋণ কোন মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। তা ছাড়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণে আগামী অর্থবছরের বাজেটে কম টাকা চাওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
বরাদ্দ বাড়ছে মেট্রোরেল প্রকল্পে। এ বছরের মধ্যে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করার ঘোষণা রয়েছে সরকারের। তাই বাজেটে মেট্রোরেলে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মেট্রোরেল প্রকল্প বরাদ্দ পাচ্ছে ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।
অর্থাৎ এ বছরের তুলনায় আসছে অর্থবছরে প্রকল্পটিতে ৫৪৩ কোটি টাকা বাড়তি দেওয়া হচ্ছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। যার মধ্যে বড় অংশ ঋণ দিচ্ছে জাপান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি চালু করা হবে। অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে প্রস্তুতিপর্ব। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এখন মেট্রোরেল চলছে।