ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের মধ্যে কক্সবাজার সৈকতে হাজারো পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দূরে (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে) অবস্থান করছে। সেখানে মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অবস্থা এখনো স্বাভাবিক। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজারের আকাশ পরিচ্ছন্ন, ঝড়-বৃষ্টিও নেই। টানা ১৯-২০ দিন ধরে কক্সবাজারে দাবদাহ পরিস্থিতি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে হাজারো পর্যটক সমুদ্রের লোনাপানিতে নেমে গোসল করছেন।

সমুদ্রে গোসলে নেমে কোনো পর্যটক যেন বিপদে না পড়েন, সে জন্য জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড বাহিনীর পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে সতর্কতামূলক প্রচারণা। তবে আজ সকাল ১০টার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক হাজার পর্যটক সমুদ্রে নেমে গোসল করছেন। দূরে দাঁড়িয়ে কয়েক ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মী পর্যটকের নজরদারি করছেন।

তখনো সাগরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা গেছে। আকাশ পরিষ্কার, তীব্র দাবদাহ পরিস্থিতিতে উত্তর দিক থেকে কিছুক্ষণ পরপর ছুটে আসা হালকা বাতাস পর্যটকদের প্রশান্তি দিচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তর দিকের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়েও কয়েক হাজার পর্যটককে সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করতে দেখা যায়। সুগন্ধার উত্তরে সিগ্যাল ও লাবনী পয়েন্টেও গোসল করতে দেখা যায় বহু পর্যটককে।

গোসলে নেমে কোনো পর্যটক যেন ভেসে না যান, সে জন্য বালুচরে দাঁড়িয়ে এবং কোমরপানিতে নেমে পর্যটকদের নজরদারিতে রাখছেন সি সেফ লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠানের ২৫ কর্মী। বেলা ১১টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় সি সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ সঙ্গে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার কথা বলা হলেও কক্সবাজার সৈকতের অবস্থা এখনো স্বাভাবিক। দাবদাহ পরিস্থিতিতে আকাশ পরিষ্কার, সাগর শান্ত, বাতাসও নেই। তবে সমুদ্রের ঢেউগুলো কিছুটা এলোমেলোভাবে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রের অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার পর্যটক সমুদ্রে নেমে গোসল করেছেন। বিকেলে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সতর্কসংকেত থাকায় সমুদ্রে নামতে কাউকে নিষেধ করা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন