চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কোনো পরামর্শ নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়া গৃহবন্দি থাকায় তার পরামর্শ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শ নেয়া হচ্ছে কিনা-এমন প্রশ্ন জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন গৃহবন্দি সুতরাং দলের কর্মসূচি নেওয়া ও পালনের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে সরকারে উপর যখন চাপ তখন জিয়াউর রহমান ইস্যুতে ৫০ বছর আগের কিছু মিথ্যা তথ্য সামনে এনে মামলা করেছে সরকার, এর মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে সরকার।’ ‘সরকারের সুবিধাভোগী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছেন, বর্তমান সরকারের ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছেন’-এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে দেশের চলমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে শেখ হাসিনা ও তার কুশীলবেরা নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। নাহিদ ইজহার খানের মামলা সেই লাগাতার ষড়যন্ত্রের একটি ঘৃণ্য উদাহরণ মাত্র।’
‘গণবিচ্ছিন্ন এই দখলদার সরকারের তরফে আগামীতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র চলমান থাকবে। বিশেষ করে সরকার পতনের সময়কাল যত এগিয়ে আসবে জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরো বাড়বে’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দ্বার্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব ধরনের ষড়যন্ত্রের জাল নস্যাত করে দেব।
দুর্যোগে দলের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফখরুল ইসলাম।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের উপস্থিত ছিলেন।