বেসরকারি খাতে বেতন বাড়ানো, মহার্ঘভাতা বা অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সরকারের দেখভালের বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এটি বেসরকারি খাতের বিষয়। তারপরও করোনাকালীন বেসরকারিখাতকে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা ভর্তুকি পর্যন্ত দিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, মহার্ঘভাতা (সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য) বলে কিছু নেই। মূল্যস্ফীতি যত বাড়বে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা একটি পার্সেন্টেজ বেতন বাড়াই। তাছাড়া আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছি। বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ভাতা, ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার লোন। মহার্ঘভাতা দেওয়ার কোনো প্ল্যান নেই।
মূল্যস্ফীতি বাড়ায় ক্রয়ক্ষমতার কথা হিসাব করে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৫ মে) বিকেলে সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না- এ প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, যারা কোভিডের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি বা নির্বাচনী পরীক্ষায় আসতে পারেনি, তাদের ক্ষেত্রবিশেষে শিথিল করা হয়েছে। এটা হয়েও গেছে।
ডিজিটাল ইকোনমিতে দেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
রিজার্ভ নিয়ে দেশে তেমন কোনো সংকট নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলার যেন আমাদের হাতে থাকে, সেটা নিয়েই আমাদের চিন্তা। রিজার্ভ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
তিনি বলেন, আমরা রিজার্ভ নিয়ে বলতে বলতে সবার মাথায় এটা ঢুকে গেছে। আমাদের রিজার্ভ এখনো যা আছে তাতে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের এমন কোনো সংকট এভাবে নেই। তবে আমরা সবসময় রিজার্ভ ধরে রাখার চেষ্টা করি।