গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (১৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ওঠে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
পরে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমাও করা হয়।
এদিকে আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আজমত উল্লা খান, জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৭ নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।
দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম এক প্রতিক্রিয়া বলেছিলেন, ‘এলাকার নাগরিক ও ভোটার যদি চায়, তবে আমি তাদের নিরাশ করবো না। তারা চাইলে আমি নির্বাচন করবো। জনগণ চাইলেই কেবল মেয়র পদে নির্বাচন করবো।’
পরে ঋণখেলাপির দায়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায় জাহাঙ্গীর আলমকে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।