কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চলাচলের চুক্তির মেয়াদ আরও ৬০ দিন অর্থাৎ দুই মাস বেড়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থল এই দেশটিই এই চুক্তির মধ্যস্থতা করছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বুধবার জানিয়েছেন, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার খাদ্যশস্য চুক্তির মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। দুই দেশই এই বিষয়ে একমত হয়েছে। এর অর্থ, ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশস্য বোঝাই জাহাজ কৃষ্ণসাগর দিয়ে আফ্রিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছাতে পারবে।
মাসকয়েক আগে এই চুক্তির পুনর্নবিকরণ নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। রাশিয়া জানিয়েছিল, ইউক্রেন এই চুক্তির সুযোগ ব্যবহার করে যুদ্ধকৌশল তৈরি করছে। ফলে রাশিয়া ফের এই চুক্তিতে না-ও যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু শেষপর্যন্ত তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তিটির পুনর্নবিকরণ সম্ভব হলো। ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশই চুক্তিতে সই করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। জাতিসংঘের প্রধানও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কৃষ্ণসাগরের এই রাস্তাকে বিশ্বের রুটির বাক্স বলা হয়। ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আফ্রিকার দেশগুলোতে যায়। ওই খাদ্যশস্যের ওপর আফ্রিকার বহু দেশ শতভাগ নির্ভরশীল।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া কৃষ্ণসাগর অবরোধ করেছিল। ইউক্রেনের কোনও জাহাজকে তারা রের হতে দেয়নি। ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছিল। আফ্রিকার কিছু দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।
এরপরই জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুই দেশ আলোচনায় বসে। সেখানেই খাদ্যশস্যের চুক্তি সই হয়। দুই দেশই জানায়, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার খাদ্যশস্য বোঝাই জাহাজ যাতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে যাতায়াত করতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। সেই চুক্তিরই মেয়াদ আবারও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হলো।