কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের শপথ কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বুধবার সকালে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে ‘অনড়’ মনোভাব দেখিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া’র ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিত্বের পাশাপাশি শিবকুমারকে পছন্দের দপ্তরসহ উপমুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পদ বরাদ্দ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘বরফ গলেনি’। যদিও কংগ্রেসের তরফে এমন ‘প্রস্তাবের’ কথা স্বীকার করা হয়নি।
কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা ইঙ্গিত দিয়েছেন, বুধবার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হয়নি। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন করব।
আনন্দবাজার পত্রিকার বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কর্নাটক বিধানসভা ভোটে দলের বিপুল জয়ের জন্য শিবকুমারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলার কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের প্রতি দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর ‘অতিসক্রিয়তা’ শিবকুমারের বিপক্ষে যেতে পারে। আর এখানেই এগিয়ে রয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিদ্দারামাইয়া। তাছাড়া কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও সিদ্দারামাইয়াকে চাইছেন।
ঘটনাচক্রে বুধবারই শিবকুমারের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগের তদন্তে নামার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন চেয়েছে সিবিআই। গত সেপ্টেম্বরে বেঙ্গালুরুর গ্রামীণ জেলার কনকপুরা, ডোড্ডা আলাহল্লি এবং সন্থে কোডিহল্লিতে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শিবকুমারের মালিকানাধীন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল তারা। ডিসেম্বরে সিবিআই হানা দিয়েছিল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবকুমারের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এরই মাঝে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
এদিকে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই বেঙ্গালুরুতে ‘উৎসব’ শুরু করল সিদ্দারামাইয়া শিবির। সমর্থক নেতাদের দাবি, কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকেই বেছে নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।