বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার প্রত্যয়

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবি

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়ে এটিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ নেতারা।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ পর্যায়ের ৭৯তম অধিবেশনে তারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

universel cardiac hospital

আলোচনা পর্বে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলারও তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক অংশীদারত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে চার দফা রূপরেখা দিয়েছেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগ ক্লাইমেট অ্যাকশন বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ইউনাইটেড নেশনস ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক পাঁচদিনব্যাপী ৭৯তম অধিবেশন গত ১৫ মে শুরু হয়েছে।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে তরান্বিত করা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নেতা এবং অন্য অংশীজনদের একত্রিত করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা এবং নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আলোচনার জন্য এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের অধিবেশনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নেট-জিরো অর্জনে উচ্চাভিলাষী জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগ বাস্তবায়নকে উৎসাহিত করা এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ শীর্ষক আলোচনা, এক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন সমাধানে মেলা আয়োজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং প্রভাব প্রশমনে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জাতীয়ভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়, উদ্ভাবননির্ভর বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর দেন।

একই সঙ্গে তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া, ডিজিটাল বাণিজ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পরিষেবাগুলোর প্রাপ্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়নের জন্য উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা, বিশেষ করে চলমান অংশীদারত্বভিত্তিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা এবং নতুন অংশীদারত্ব গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অনলাইনে এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংকক থেকে রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ রাশেদুল হোসেনসহ দূতাবাসের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধিরা আলোচনা পর্বে সরাসরি অংশ নেন।

অধিবেশনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এজেন্ডা-২ এর আওতায় থিম টপিকের ওপর কান্ট্রি স্টেটমেন্ট দেন। এছাড়া প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা এজেন্ডাভিত্তিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।

শেয়ার করুন