‘ভারত-ভিয়েতনাম কোথাও নেই, সরকার আর কতো ভর্তুকি দেবে?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে হলে এর দামও ওই রকম হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, সবাইকে এখন জ্বালানির দক্ষ ব্যবহারে জোর দিতে হবে। দাম কমানো নয়, দক্ষ ব্যবহারই শিল্পের খরচ সাশ্রয় করতে পারে। ভারত, ভিয়েতনাম কোথাও জ্বালানি পণ্যে ভর্তুকি নেই। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানের কথা ভেবে সরকার দিচ্ছে। কিন্তু সরকার আর কতো দিন ভর্তুকি দেবে?

‘অনুমেয় ভবিষ্যতের পথে জ্বালানি কৌশল’ শিরোনামে আয়োজিত সংলাপে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আজ শনিবার নিজস্ব কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকির সুবিধা পাচ্ছেন তৈরি পোশাক খাতের বিদেশি ক্রেতারা। এটা হতে পারে না। বিদেশি ক্রেতাদের জন্য সস্তা বাজার তৈরির এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাদের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে নিজেদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ধীরে ধীরে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে। এ জন্য নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।

করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মিলে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির সমস্যা সবার সামনে এসেছে বলে মনে করছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতির কথা কেউ অনুমান করতে পারেননি। এর আগে তো কোনো সমস্যা ছিল না। পরে দাম বেশি হলেও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ডলারের সংকট আছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ রাখতে হয়েছে।

শেয়ার করুন