শেয়ার বাজার : পুঁজি ফিরেছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা

মত ও পথ ডেস্ক

শেয়ার বাজার
ফাইল ছবি

সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে তিন কর্মদিবস উত্থান আর দুই কর্মদিবস দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে ১৪ মে থেকে ১৮ মে মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। তাতে উভয় বাজারে বেড়েছে সূচক।

ফলে গত এক সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) ফিরেছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৫ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।

universel cardiac hospital

রোববার (১৪ মে) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭১ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১১ মে) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৬ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৫ টাকা।

এর আগের সপ্তাহের মূলধন কমেছিল ২১০ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৭০৩ টাকা। কিন্তু তার আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছিল ২৫৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১৮টির, কমেছিল ৪৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি দুই শতাধিক কোম্পানির। তারপরও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯১ টাকা। অর্থাৎ ২৭৭ কোটি ৬৭ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৩ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, জেমিনি সি ফুড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, অগ্নি সিস্টেমস, আমরা নেটওয়ার্কস এবং ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট পিএলসির শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৯ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ৬৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

শেয়ার করুন