বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তাই উন্নয়নের অভিযাত্রী অদম্য বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় মিডিয়াসহ সবার দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ একান্ত আবশ্যক।
শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানী ঢাকাস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরাতে (আইসিসিবি) গ্রিন মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড আয়োজিত গ্রিন টেলিভিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং গ্রিন টিভির পৃষ্ঠপোষক আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। বিশেষ বক্তব্য দেন গ্রিন টিভির পরিচালক আমীন হেলালী। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গ্রিন টেলিভিশনের লোগোতে লাল সবুজের অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ও সঠিক ইতিহাস প্রচারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে গ্রিন টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্বমানের অনুষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের নিকট তুলে ধরতে এ টেলিভিশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, সব কার্যক্রম পরিচালনায় পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোভিড পরবর্তী ‘বিল্ড বেটার, বিল্ড গ্রিনার’ স্লোগানকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়গুলোতে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে টেলিভিশনটিকে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ সম্পূর্ণরূপে কার্যকর। ডিজিটাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তিগত জ্ঞান আবশ্যক। তরুণরা সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হয়ে তাদের মেধা ও যোগ্যতার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমর্থ হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গ্রিন টিভির লোগো উন্মোচন করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেক কেটে গ্রিন টেলিভিশনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্যরা, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, টেলিভিশন ও মিডিয়া জগতের শিল্পী ও কলাকুশলীরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।