আরববলয়ে বাশার, যুক্তরাষ্ট্রের কপালে ‘ভাঁজ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ফাইল ছবি

এক যুগের বেশি সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে একঘরে রেখেছিল আরব বিশ্ব। কিন্তু সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন আরব নেতারা। চলতি সপ্তাহেই সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে বাশারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হলো। খবর আল-জাজিরার।

আনুষ্ঠানিকভাবে বাশারের আরববলয়ে ফেরার বিষয়টিকে একটা সময় অসম্ভবই মনে করা হতো। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘হিসাব’ মেলাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দামেস্কের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক যাতে আবার স্বাভাবিক না হয়, ওয়াশিংটন বরাবরই সে চেষ্টা করে গেছে। কিন্তু তাদের আরব মিত্রদের সিরিয়ার সঙ্গে পুনরায় গাঁটছড়া বাঁধার বিষয়টিকে ঠেকাতে পারেনি তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বাশারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আগে তারা আবর দেশগুলোর সঙ্গে মিলে বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোয় মানবিক সহায়তার পরিধি বাড়ানো, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখা, ইরানের প্রভাব কমানো এবং মাদক পাচারে লাগাম টানা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এর কতোটা কী পরিবর্তন ঘটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

২০১১ সালের আরব বসন্তের হাওয়া লেগেছিল সিরিয়াতেও। দেশটিতে ছড়িয়ে পরে সরকারবিরোধী আন্দোলন। ওই আন্দোলন কঠোর হাতে দমন শুরু করে বাশার সরকার। এ অবস্থায় আরব লিগ থেকে সিরিয়াকে বহিষ্কার করা হয় এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলো সিরিয়াকে বর্জন করে। চলতি মাসে আরব লিগে আবার জায়গা ফিরে পায় সিরিয়া। ১৮ মে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবে পা রাখেন। এর আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে দফায় দফায় কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে বেশ জোরের সঙ্গেই বলেন, সিরিয়ার পুনরায় আরব লিগে যোগদানের কোনো তাৎপর্য আছে বলে তারা বিশ্বাস করেন না। তবে ব্লিঙ্কেন এখনো মনে করেন, সিরিয়া বিষয়ে ওয়াশিংটন ও আরব মিত্রদের মধ্যে বৃহত্তর অভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে।

শেয়ার করুন