স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মানবতা ও উদারতার কারণে আজ অপরাধ জগতের চরমপন্থী সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। র্যাবের পৃষ্ঠপোষকতায় আত্মসমর্পণকারীরা আলোর পথ দেখতে শুরু করেছেন। সরকার সব আত্মসমর্পণকারীদেরকে পুনর্বাসন করবে। ইতোপূর্বে সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকারী ৪৫০ জন জলদস্যুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।
আজ রোববার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র্যাব-১২ এর কার্যালয় চত্বরে চরমপন্থী সদস্যদের আত্মসমর্পণ উপলক্ষে র্যাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলে।
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা সরকারের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে অপরাধ জগত থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবেন, তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। মানবতার মা হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে র্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী সর্বহারা ও জলদস্যুদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দিয়ে তাদের পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তারা এখন স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছেন।
অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের সাইদুল ইসলাম, রাজবাড়ীর ফারুক শেখ এবং চরমপন্থী শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার বক্তব্য রাখেন। তারা বক্তব্যে তাদের অন্ধকার জীবনের দুঃখ, দুর্দশা ও চরম নিরাপত্তাহীন জীবনের কথা শোনান। তারা আলোর পথে এসে জীবনকে নতুন করে গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মেহেরপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও নাটোরের মোট ৩১৫ জন সর্বহারা আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে ২১৩টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্র জমা দেওয়া হয়।