বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পাঁচ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে মর্যাদাপূর্ণ মরনোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রদান করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ডের নামে এই ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রবর্তিত হয়।
এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছ থেকে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে এ মেডেল গ্রহণ করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৯টি দেশের নিহত ১০৩ জন শান্তিরক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এ মেডেল প্রদান করা হয়।
জীবন উৎসর্গকারী পাঁচ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হলেন- সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল কফিল মজুমদার, সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।
আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর ওই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। শোকবার্তায় তিনি শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সব শান্তিরক্ষীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় ক্ষতির জন্য তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের ৯টি মিশনে কর্তব্যরত রয়েছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ১৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন।