এলিমিনেটরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে নাকাল করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এসেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে মুম্বাইয়ের মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটান্স।
হার্দিক পান্ডিয়ার দল সময়মতো ঠিকই জ্বলে উঠলো। রোহিত শর্মার মুম্বাই পারলো না আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে। মুম্বাইকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে গুঁড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে গুজরাট টাইটান্স।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে চারবারের চ্যাম্পিয়ন মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইয়ের বিপক্ষে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের কাছেই হেরেছিল হার্দিকের দল।
ফাইনালে ওঠার জন্য মুম্বাইয়ের লক্ষ্য ছিল ২৩৪ রানের। প্রায় অসম্ভব এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ১০ বল বাকি থাকতে ১৭১ রানেই থেমেছে রোহিতের দল।
রান তাড়ায় ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুম্বাই। এরপর তিলক ভার্মা ১৪ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৩ রানের এক ঝড় তুলে দিয়ে ফিরে যান। ক্যামেরুন গ্রিন করেন ২০ বলে ৩০।
১৫তম ওভার পর্যন্ত লড়াইটা জিইয়ে রেখেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ১৪.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৫ রান ছিল মুম্বাইয়ের। কিন্তু ওই ওভারে মোহিত শর্মা জোড়া শিকার করলে মুম্বাইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। সূর্য ৩৮ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৬১ করে ফেরেন। এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। বিধ্বংসী বোলিং করা মোহিত মাত্র ১০ রানে একাই নেন ৫টি উইকেট।
এর আগে দানবীয় এক সেঞ্চুরি হাঁকান গুজরাট টাইটান্সের ওপেনার শুভমান গিল। ৬০ বলেই খেললেন ১২৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। ৭ চার আর ১০ ছক্কার এই ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ২৩৩ রানের পাহাড় গড়ে গুজরাট।
আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোই যেন কাল হয় মুম্বাইয়ের। ঋদ্ধিমান সাহা ১৬ বলে ১৮ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
এরপর সাই সুদর্শনকে নিয়ে মুম্বাই বোলারদের ওপর রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন গিল। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা।
১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন গিল। ৩১ বলে ৪৩ করে রিটায়ার্ড আউটে সাজঘরে ফেরেন সুদর্শন। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২৩৩ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।