মার্কিন ভিসানীতির কারণে বন্ধ হবে জ্বালাও-পোড়াও: মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি দেশ থেকে টাকা পাচার কমাবে। একইসঙ্গে জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি বন্ধ হবে বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেয় বড়লোকেরা, সরকারি কর্মচারীরা, কিছু বড় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ, যাদের ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়ে, যারা বিদেশে বাড়ি বানিয়েছেন, যারা টাকা পাচার করেছেন। নতুন এই ভিসানীতির কারণে হয়তো টাকা পাচার কমবে। কারণ ওনারা টাকা নিয়ে গিয়ে সেখানে স্থাপনা তৈরি করেন।

নতুন ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সরকার কোনো আবেদন করবেন কি না-জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার-সেই ইনস্টিটিউশন ডেভেলপ করেছি। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। সেখানে অন্য লোক সাহায্য করলে ভালো, না করলেও আমরা এটা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ড. মোমেন বলেন, তবে আমরা এজন্য খুশি যে তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চান, সেটিই সাহায্য করার জন্য তারা তাদের এই ভিসানীতি প্রচলন করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইব এই ভিসানীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করো। আমরা আর জ্বালাও-পোড়াও চাই না।এই আইনের কারণে যদি জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, এটা কল্যাণকর হবে। জ্বালাও-পোড়াও কারা করে আপনি জানেন। যারা করেন তাদের সতর্ক হওয়া দরকার, তাদের লিডারশিপের (নেতৃত্ব) সতর্ক হওয়া দরকার।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পূজারী। আমরা এ দেশে গণতন্ত্রকে রিএস্ট্যাবলিশ (পুনর্প্রতিষ্ঠিত) করেছি। আমরা গণতন্ত্রের মধ্যে সব সময় নির্বাচিত হয়েছি। এ দেশে যারা গণতন্ত্রের বাইরে নির্বাচিত হয়েছে ভোটারবিহীন নির্বাচনে, তাদের (১৯৯৬ সালে) দেড় মাসের মধ্যে ফেলে দিয়েছে পাবলিক।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে ওই ভিসানীতি ঘোষণা করেন। । এই নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিসানীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

শেয়ার করুন