যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকারের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, যদি এই আইনের (ভিসা নীতি) কারণে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, তা হবে আশীর্বাদ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। এর আগে হেলথ ওয়াচ আয়োজিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: অ্যাডভান্সেস ইন হেলথ’ শীর্ষক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো আবেদন করবেন কি না— এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার, সেই ইনস্টিটিউশন ডেভেলপ করেছি। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। সেখানে অন্য লোক সাহায্য করেন ভালো, না করলেও উই আর কমিটেড টু ইট।
মার্কিন নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) বড়লোকেরা নেয়। সরকারি কর্মচারী, কিছু বড় ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনীতিবিদ— তাদের ভিসার দরকার হয়, যাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়ে, বিদেশে বাড়ি বানিয়েছেন, যারা টাকা পাচার করেছেন। এতে হয়তো আশা করি টাকা পাচার কমবে। কারণ ওনারা নিয়ে গিয়ে তো স্থাপনা তৈরি করেন। আর যারা গরিব লোক নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট হয়, তারা তো ভিসার জন্য আসেই না।
ভিসা নীতি নিয়ে সরকার মোটেই বিব্রত নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা দেওয়া না–দেওয়া ওদের (যুক্তরাষ্ট্রের) ব্যাপার। ভিসা যুক্তরাষ্ট্র নিজের দায়িত্বে দেয়।