ভারতে এবার সিলেবাস থেকে বাদ উর্দু কবি ইকবাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হামারা’র লেখক উর্দু কবি মুহাম্মদ ইকবাল। তার জীবনী ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ শিরোনামের অধ্যায়টি বিএ-এর ষষ্ঠ সিমেস্টারে পড়ানো হতো। এর মধ্যেই ছিল প্রয়াত কবির জীবনী এবং সাহিত্য রচনা–সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি।

পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে পরিচালন পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদের সভা হওয়ার কথা আছে।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১৪তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় স্নাতক কোর্সের ওপর আলোচনার সময় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্য যোগেশ সিং বলেছেন, যারা ভারত ভাঙার ভিত্তি তৈরি করেছে, তাদের সিলেবাসে থাকা উচিত নয়।

এর আগে এ বছরের শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যক্রম থেকে মোগল যুগ বাদ দিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) এর পাঠ্যপুস্তক থেকে মোগল যুগ বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ১৯০৪ সালে লেখা ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁ হামারা’ দেশের এ গানের কবি ও গীতিকার আল্লামা ইকবাল। গানটি ভারতে ভীষণভাবে সমাদৃত।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে) জন্ম মুহাম্মদ ইকবালের। পাকিস্তানের জাতীয় কবি তিনি। প্রথম জীবনে কাব্য রচনার ভাষা হিসেবে উর্দুকে বেছে নিলেও পরে ফার্সি হয়ে উঠেছিল তার লেখনীর মাধ্যম। পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভারতীয় সেনাদের জন্য তৈরি করেছিলেন ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র কুচকাওয়াজ-সংস্করণের সুর।

শেয়ার করুন