রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় পসকভ অঞ্চলের একটি তেলের পাইপলাইনের প্রশাসনিক ভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। দুটি ড্রোনের আঘাতে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার আঞ্চলিক গভর্নর মিখাইল ভেদেরনিকভ বলেন, সকালের দিকে নেভেলস্কি জেলার লিটভিনোভোর কাছে তেল পাইপলাইনের প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুটি মনুষ্যবিহীন যানের হামলায় ভবনটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছে, পসকভের ট্রান্সনেফ্ট তেল স্টেশনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা করা হয়েছে। বেলারুশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের লিটভিনোভো গ্রামে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়ায় ড্রোন হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের হামলা ঘটছে। এর আগে শুক্রবার (২৬ মে) রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ক্রাসনোদারের কেন্দ্রস্থলে দুটি ড্রোন হামলা হয়। এতে একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্রেমলিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রমবর্ধমান এসব হামলা ও নাশকতার সঙ্গে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা সমর্থকরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে মস্কো। তবে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘন্টায় ১২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে ও ইউক্রেনে সরবরাহ করা দুটি দূরপাল্লার ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
এর আগে কিয়েভ বলেছিল, পশ্চিমাদের সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ইউক্রেনের অভ্যন্তরে অবস্থান নেওয়া রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স