তুর্কির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ক্ষমতায় থাকবেন কিনা তা নির্ধারণে দেশটিতে আজ রোববার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী একটি বড় বিরোধী জোটের সমর্থিত কামাল কিলিকদারোগলু ভোটটিকে তুরস্কের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনার গণভোট হিসাবে বিবেচনা করেছেন।
জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট একটি ‘তুর্কি শতাব্দী’ ঘিরে দেশকে একত্রিত করার নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রবল মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট।
ভোট কেন্দ্রগুলো রোববার স্থানীয় সময় ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ১১টা) খোলা হবে। ভোট শেষ হবে স্থানীয় সময় ৫টায়। সারা বিশ্বে থাকা প্রবাসীদের ভোট নেওয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
প্রথম রাউন্ডে ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং এরদোগান আড়াই মিলিয়ন ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। সেজন্য উভয় প্রার্থীরই নজর রয়েছে আট লাখের ওপর যারা ভোট দেননি এবং এবার দিতে পারবেন।
দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে কিলিকদারোগলু তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে ‘ফাউল প্লের’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
ভোটে কারচুপি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে বিরোধী দলগুলো স্বেচ্ছাসেবকদের একটি বাহিনী মোতায়েন করছে।
প্রথম দফার পর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা অসম খেলার মাঠের কথা বলেছিলেন। তবে ভোটে কোনো অনিয়ম হলে ফলাফল পরিবর্তন হবে এমন কোনো পরামর্শ ছিল না।
কিলিকদারোগলু তার প্রচারণার শেষ দিনে একটি খুব ভিন্ন ধরনে প্রেসিডেন্সির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘প্রাসাদে থাকতে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমি আপনার মতো বিনয়ীভাবে জীবনযাপন করব… এবং আপনার সমস্যার সমাধান করব।’
এটি আঙ্কারার প্রান্তে এরদোগানের বিশাল প্রাসাদ কমপ্লেক্সকে নিয়ে বলা হয়েছে, যেখানে এরদোগান ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় চলে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান থেকে বেঁচে থাকার পরে তিনি ব্যাপক ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন, কয়েক হাজার লোককে আটক করেছিলেন এবং মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।