১৪ বছর আগের ইতিহাসটা পুনরাবৃত্তি ঘটালো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। একই টুর্নামেন্টের ফাইনালে একই প্রতিপক্ষকে হারালো ঠিক একই ভঙ্গিমাতেই। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী লিমিটেডকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় পর শিরোপা জিতলো দলটি।
বাংলাদেশের ফুটবলে যেন সেই পুরোনো যৌলুস ফিরে এসেছে। আবাহনী-মোহামেডান মধ্যকার ফাইনালটা তার প্রমাণই দিল। উত্তেজনা ছড়ানো সাত গোলের ম্যাচে ফলাফল আসেনি নির্ধারিত ৯০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময় দুদলেই করল একটি করে গোল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ালো ফাইনাল ম্যাচটি।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুর দিকে আক্রমণে একক আধিপত্র বিস্তার করে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। আর খেলার ৪৩তম মিনিটে কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ধানমণ্ডির ক্লাবটি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ গোল ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় নিজেদের ছন্দ ফিরে আসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচে ফিরতে চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ সেই সুবাদে মোহামেডানের মালির অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের করা গোলে ব্যবধান কমে। চার মিনিট পর আরেকটি দুর্দান্ত গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সুলেমান।
তবে মোহামেডানের দ্বিতীয় গোলের ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই নাইজেরিয়ান তারকা ফুটবলার এমেকার গোলে আবাহনী ফের লিড নেয়। ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২। এরপর ৮৩তম মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের মাধ্যমে নাটকীয়ভাবে দলকে আবারও সমতায় ফেরান সোলেমান।
নির্ধারিত সময়ে ফল না আসলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে একাই বল নিয়ে আবাহনী বক্সে ঢুকে পড়েন সুলেমান। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক তাকে অবৈধভাবে বাধা দিলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। স্পট কিক থেকে সফল শটে নিজের চতুর্থ গোলের মাধ্যমে দলকে লিড এনে দেন সুমেলান। আর ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে রহমত শাহের দুর্দান্ত শটে ব্যবধান ৪-৪ করে আবাহনী।