প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, এ বাজেটে যেসব উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, তা অলীক এবং অর্জনযোগ্য নয়। চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঘোষিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল।’
ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ ও পণ্যের ঊর্ধ্বমুখিতার লাগাম টেনে ধরার জন্য যে প্রস্তাবনাগুলো দেওয়া হয়েছে, যে সমাধান দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সম্ভব না। সেগুলোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ওপর কর রেয়াত দেওয়া হলে সাধারণ জনগণ স্বস্তি পেত। সেখানে খুব একটা উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে, এটা ভালো। কিন্তু ৩৮টি সরকারি সেবা পেতে কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এখানে করদাতার আয় যেটাই হোক দুই হাজার টাকা কর আরোপ করা হয়েছে। এটি আমাদের কাছে অবিবেচনাপ্রসূত মনে হয়েছে। সেবা নিতে হলে দুই হাজার টাকা ন্যূনতম কর নির্বিশেষে সবাইকে নেওয়ার বিধান তুলে দেওয়ার দাবি করছি।
অর্থনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারে বাজেটে তেমন কোনো পদক্ষেপের কথা নেই উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘বাজেট এমন একটা সময়ে প্রণীত হয়েছে, যেখানে আইএমএফের বিভিন্ন শর্ত রয়েছে, যেহেতু তারা ঋণ দেবে। বাজেট নথিতে তিনবার আইএমএফের কথা বলা হয়েছে। আইএমএফের শর্তের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রায় এ শর্তগুলো পরিপালনের ইঙ্গিত রয়েছে।’