স্বামীর লাশ হাসপাতালের ফটকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শফিকুল ইসলাম গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বজরুজামালপুর গ্রামের মুন্টু আকন্দের ছেলে।
তার স্ত্রী শ্যামলী খাতুন। তার বাবার বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কাদাই গ্রামে। শফিকুল ইসলামের ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে শফিকুল অনেক টাকা পান। এই টাকা চাইতে গেলে তারা কৌশলে তার ভাইকে তরলজাতীয় কোনো কিছু পান করান।
এতে শফিকুল অসুস্থ পড়লে চিকিৎসার নামে হাসপাতালের গেটে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন। স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় শফিকুল ইসলাম ও শ্যামলী খাতুনের পরিচয় হয়। প্রায় তিন বছর আগে তারা বিয়ে করেন। ১৫ দিন আগে শ্যামলী খাতুন তার স্বামীকে ঢাকায় রেখে একাই বাবার বাড়ি ধুনটের কাদাই গ্রামে চলে আসেন। তিনি না ফেরায় শফিকুল ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল বেলা দুইটার দিকে ঢাকা থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন।
খবর পেয়ে শ্যামলী বাবার বাড়ি থেকে গা–ঢাকা দেন। শ্বশুরবাড়িতে শ্যামলীকে না পেয়ে শফিকুল ধুনট উপজেলার কান্তনগর বাজারে ফিরে আসেন। সেখান থেকে বিকেল চারটার দিকে আবারও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে শ্যামলী তার স্বামীকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পথে রওনা হন শ্যামলী। হাসপাতাল ফটকে যাওয়ামাত্র সন্ধ্যা সাতটার দিকে শফিকুল মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই শ্যামলী তার স্বামীর লাশ ফেলে রেখেই পালিয়ে যান। এর পর থেকে শ্যামলীকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।