উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এই ট্রাজেডিতে এখন পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন নয় শতাধিক মানুষ। এ দুর্ঘটনায় ভারতীয়দের পাশাপাশি উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশিদের মধ্যেও।
বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের অনেকেই চিকিৎসা করান কলকাতায়, অনেকে চলে যান চেন্নাই-বেঙ্গালুরুতে। ফলে শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও থাকতে পারেন। যদিও এখন পর্যন্ত হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশের কেউ রয়েছেন কি না নিশ্চিত করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অধিকাংশই পর্যটক এবং চেন্নাইসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন। আবার অনেকেই চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন।
ট্রেন দুর্ঘটনার পরেই কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটা নাগাদ উড়িষ্যায় বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ওই ট্রেনটিতে যাতায়াত করে। এই বিবেচনায় দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সাথে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন যোগাযোগ রাখছে। এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপ-হাইকমিশনের হটলাইনে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। হটলাইনে নম্বর-+৯১ ৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ)।