সরকার রাজনৈতিক চাপে রয়েছে বলে দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যুদ্ধের অদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক চাপের শিকার। স্যাংশন হচ্ছে, অনিশ্চয়তা আছে। তবে আমরা বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আজ শনিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে ভর্তুকি থেকে সরে আসার একটি ঘোষণা ছিল। সামনে এটা হবে। তবে কৃষি, খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় কিছু খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে।
রাজস্ব আদায়ে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষামূলকভাবে এজেন্ট ব্যবহারের কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি মনে করেন, ভ্যাট আইন অবশ্যই আলোচনার ভিত্তিতে করা উচিত।
এছাড়া বাজার ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখলে মূল্যস্ফীতি এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে করোনা এবং যুদ্ধের চেয়েও খারাপ প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেন।
এমসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আডিব এইচ খান বলেন, আরও সময় নিয়ে আয়কর নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। এটা জুনের ৪ তারিখ সংসদে উত্থাপনের কথা রয়েছে। আর বিদেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে করারোপ করায় এটা ঋণগ্রহীতার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার বলেন, এবারের বাজেট নির্বাচনী বাজেট বলে মনে হচ্ছে না। তবে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য কী ধরনের পরিবর্তন আনা হবে এটা একটা বড় প্রশ্ন।