নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রেনটি চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চলাচল করবে।
আজ রোববার ট্রেনটি উদ্বোধন উপলক্ষে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন। প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি হুইসেল বাজিয়ে, পতাকা নেড়ে ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ৮০০ জন যাত্রী বহন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন চিলাহাটি এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয় দিন চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেলযোগাযোগের ক্ষেত্রে চিলাহাটি স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হয়ে উঠেছে। নীলফামারীর চিলাহাটির সঙ্গে ভারতের হলদিবাড়ীর রেলযোগাযোগ আগেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পণ্যবোঝাই ওয়াগনের পাশাপাশি এই রুটে আন্তদেশীয় ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ চলাচল করছে।
আজকের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়েসচিব মো. হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে মোট ৭৪০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ স্থাপন করেছে। ২৮০ কিলোমিটার রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করেছে। আর ১ হাজার ৩০৮ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করেছে।
একই সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মোট ১১৪টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন ৬২৩টি যাত্রীবাহী বগি ও ৫১৬টি পণ্যবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩০টি রেলস্টেশনের সিগন্যালিং সিস্টেম আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ১৪২টি নতুন ট্রেন চলাচল করছে।