বাতিঘর থিয়েটারের একযুগ পূর্তিতে নাট্যোৎসব

মত ও পথ ডেস্ক

বাতিঘর থিয়েটারের নতুন নাটকের একটি দৃশ্য। সংগৃহীত ছবি

বাতিঘর থিয়েটারের একযুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে ৮ ও ৯ জুন দুই দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে বাতিঘরের নতুন নাটক ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় থাকছেন মুক্তনীল।

উৎসবের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে হচ্ছে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। নিয়মিত প্রদর্শনী শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় একই হলে।

‘ভগবান পালিয়ে গেছে’ নাটকে দেখা যাবে, বিশ্বাস এক বিশাল বটবৃক্ষ। মাটির উপরে যেমন তার বিশালতা। তা মাটির নিচেও সে সমান বিস্তৃত। বিশ্বাসের ওপর ভর করে মানুষ আশ্রয় খোঁজে, ভরসা চায়। মানব সৃষ্টির শুরু থেকেই লৌকিকতা এবং অলৌকিকতার দোলাচলে লৌকিকতার পরাজয় ঘটেছে। পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত আজন্ম লালিত অলৌকিকতার প্রতি মানুষের এক দুর্নিবার আকর্ষণ।

বিশ্বাস পুঁজি করে মানুষ এগিয়েছে সাফল্যের চূড়ায়। তেমনি তলিয়ে গেছে অতল অন্ধকার গহব্বরে। বিজ্ঞান যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলোর স্ফুরণ পৌঁছে দিয়েছে। তখনো বিশ্বাসীরা তাদের স্বীয়শক্তিতে অন্ধত্বের চরমে মুখ থুবড়ে পড়ছে। ধর্মবিশ্বাস এরমধ্যে দুর্দান্ত প্রতাপে এগিয়ে। যেহেতু মানুষের আশ্রয় প্রয়োজন, ধর্মের কাছে এসে তারা সেই আশ্রয় গ্রহণ করে। খেলার আরম্ভটা হয় সেখান থেকে।

শাস্ত্র অনুযায়ী ঈশ্বরের কোনো রূপ নেই, কিন্তু তার ইচ্ছে আছে। অর্থাৎ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে এভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়, আপনার ভেতরে একটা সত্ত্বা আছে, যাকে আপনি দেখতে পান না। কিন্তু সে প্রতিনিয়ত আপনাকে দেখছে- আপনি খাচ্ছেন, কথা বলছেন, হাঁটাচলা করছেন, ইত্যাদি। এভাবেই নাটকটির গল্প এগিয়ে যায়।

শেয়ার করুন