উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের ‘খুব কাছাকাছি’ ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁর করা সর্বশেষ আপিল আবেদনটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে তাঁর বাকি জীবন কারাগারে কাটাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, একই আদালতেই আবার আপিল করা হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
গত বছরের এপ্রিলে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। এরপর জুন মাসে সেই আদেশে দেশটির তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল সই করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আটটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অ্যাসাঞ্জ আপিল করেছিলেন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের বিচারক জনাথন সুইফট সেই আপিল খারিজ করে দেন। আদালতের এ আদেশ ছিল তিন পৃষ্ঠার।
আদালতের আদেশের বিষয়ে অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ বলেন, আগামী সপ্তাহে তাঁর স্বামী উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য নতুন করে আবেদন করবেন। নতুন দুজন বিচারক এই শুনানি করবেন।
স্টেলা বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আমরা বিজয়ী হবো এবং জুলিয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হবে না। অ্যাসাঞ্জের বাবা জন শিপটন বলেন, বিষয়টির ওপর আরও শুনানির জন্য অ্যাসাঞ্জ যেসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করেছে, তা ছিল ‘স্পষ্ট, মজবুত ও ন্যায্য।’
অ্যাসাঞ্জ তাঁর আপিলে যুক্তি তুলে ধরে দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণের আদেশ অনুমোদন করে ভুল করেছেন। কারণ, এটি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন। সেই চুক্তিতে বলা আছে, যে অপরাধের জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হয়েছে, তা রাজনৈতিক অপরাধ হলে প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করা হবে না।