অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পরেও শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিপর্যয়। আরব সাগরে অবস্থান করা ঝড়টি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি সঞ্চয় করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। শনিবার (১০ জুন) এক পূবার্ভাসে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। খবর এনডিটিভির।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বর্তমানে ভারতের গোয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে, মুম্বাই থেকে ৬৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পোরবন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার।
ঝড়ের কারণে কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভারি বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইএমডি। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে সুউচ্চ ঢেউ এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত গুজরাটের তিথাল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভালসাদের তহসিলদার টি সি প্যাটেল বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেছেন, আমরা ১৪ জুন পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য তিথল সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দিয়েছি। প্রয়োজনে সমুদ্রের তীরে অবস্থিত গ্রামের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক এবং লক্ষদ্বীপের জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমডি। শুক্রবার কেরালার আটটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গভীর সমুদ্র এলাকা থেকে জেলেদের দ্রুত উপকূলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে এবং বন্দরগুলোকে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সুরাটের কালেক্টর বি কে ভাসাভা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ঝড়টি রোববার বা সোমবার দক্ষিণ গুজরাটে পৌঁছাতে পারে। বর্তমানে, আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। সব কর্মকর্তাকে সদরদপ্তরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসডিআরএফ (স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) টিমগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
আহমেদাবাদে আইএমডির আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক মনোরমা মোহান্তি বলেছেন, ১০, ১১ ও ১২ জুন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতাসের গতিবেগ ৪৫ থেকে ৫৫ নট পর্যন্ত উঠতে পারে। কখনো কখনো তা ৬৫ নটও ছুঁতে পারে।