কিউবা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চীন নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দাবি, ২০১৯ সালে কিউবায় নজরদারি–সংক্রান্ত সরঞ্জাম ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার এই দাবি করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আড়িপাতার জন্য কিউবায় অবকাঠামো নির্মাণে দেশটির সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে চীন। ওই অবকাঠামো নির্মাণের স্থানটি ফ্লোরিডা থেকে মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার দূরে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, সংবাদমাধ্যম যেভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরছে, তার সঙ্গে আমাদের বোঝাপোড়া মিলছে না। তবে প্রতিবেদনের কোন অংশ অসত্য, তা তিনি যেমন বলেননি, তেমনি কিউবায় আড়িপাড়ার অবকাঠামো নির্মাণে চীনের পদক্ষেপ নিয়েও বিস্তারিত কিছু বলেননি।
বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, বিষয়টি জো বাইডেন ক্ষমতায় (২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি) আসার আগের; চীন তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী তাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দেয়।
এটা (চীনের আড়িপাতা) চলমান বিষয়, এটা নতুন কোনো খবর নয় উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৯ সালে কিউবায় চীন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জামের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা তথ্য আছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা গত শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতির কথা উল্লেখ করেন। ওই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যাকার’ অভিহিত করে দেশটির বিরুদ্ধে ‘গুজব ছড়ানো ও পরনিন্দা করার’ অভিযোগ তোলা হয়েছে।