পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘর-বাড়ি ধসে পড়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
এছাড়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ারে গাছ ভেঙে পড়ায় আরও ১৪৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য কাজ করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এর আগে গত মাসে গ্রীষ্মে অস্বাভাবিক তুষারপাতের কারণে তুষারধসে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হয়।
শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আরব সাগর থেকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
গত বছর পাকিস্তানে অতিবৃষ্টির কারণে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে সময় ৬৪৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পরেও শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ‘বিপর্যয়’। ঝড়ের কারণে কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভারি বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইএমডি। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে সুউচ্চ ঢেউ এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত গুজরাটের তিথাল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ। প্যানেল অন ট্রপিকাল সাইক্লোনের কাছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের নামের প্রস্তাবিত তালিকা জমা পড়ে। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হয় পরবর্তী ঝড়ের নাম।