জামায়াত যেহেতু নিষিদ্ধ দল নয়, তাই তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তবে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে, সেগুলো বিএনপিরও বক্তব্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজ রোববার সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জামায়াতের সমাবেশ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াত এখনো যেহেতু নিষিদ্ধ হয়নি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছে, সে জন্য তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল তাদের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটারই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে তারা এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে, সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে।
এর আগে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ১১ জুন একটি ঐতিহাসিক দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেছেন। এই দিনটি শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘সেনাসমর্থিত সেই সরকার (তত্ত্বাবধায়ক) দুর্নীতি–দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও নিজেরাই দুর্নীতি, অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিল এবং তখন তাদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বলেনি, শেখ হাসিনাই সাহস করে কথা বলেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখ স্তব্ধ করার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এরপর তারা বুঝতে পেরেছিল, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দী শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি শক্তিশালী।