রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় প্রায় আট লাখ ভোটের দুই নগরীর ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যা একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।
ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা কমিশনের নজরে পড়েনি।
বরিশাল সিটিতে ভোটার : ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়া, কেন্দ্র বা কক্ষ ভোটকেন্দ্র ১২৬টি ও ভোটকক্ষ ৮৯৪টি।
খুলনা সিটিতে ভোটার : ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন; নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। কেন্দ্র বা কক্ষ ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ ১৭৩২টি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা রয়েছে। অন্যদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রগুলোতে থাকছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, বরিশালে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন। আর খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন লড়ছেন। এছাড়া, সোমবার বরিশাল ও খুলনা সিটি ভোটের পাশাপাশি কক্সবাজার ও আড়াইহাজার পৌরসভায়ও ভোট চলছে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানিয়েছিলেন, ভোটের দিনও সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে। নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা রয়েছে। অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নির্বাচন ভবনে ইসির আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল রয়েছে। তাতে জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, বিজিবি, র্যাব ও আর্মড পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তারাও আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে অবহিত করছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা ৫ উপনির্বাচন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের ধারাবাহিকতায় বরিশাল ও খুলা সিটিতেও সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা ৫ উপ নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের দৃশ্য সিসিটিভিতে দেখে মাঝপথে ভোট স্থগিত করে ইসি। পরে সেখানে আবার ভোটগ্রহণ হয়।