শরিফুলের ব্রেক থ্রু, সঙ্গে এবাদত হোসেনের জোড়া উইকেট। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৮২ রানের জবাব দিতে নেমে ৩৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এই ৩৫ রানেই মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে তারা।
২.৪ ওভার বল করে ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। তিনি ফিরিয়েছেন আফগান ওপেনার আবদুল মালেক এবং ওয়ান ডাউনে নামা ব্যাটার রহমত শাহকে। এর আগে ইবরাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। ২ রান নিয়ে হাশমত উল্লাহ শহিদি ব্যাট করছেন।
শরিফুলের বলে ইবরাহিম জাদরান আউট হতে পারতেন দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই। কিন্তু প্রথম স্লিপে থাকা বলটি যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে লিটন দাস ধরার চেষ্টা না করতেন, তাহলে সেটি হয়তো নাজমুল হোসেন শান্তই তালুবন্দী করে নিতে পারতেন। লিটন চেষ্টা করে ধরতে পারেননি। শান্তও বলে হাত লাগাতে পারেননি। বেঁচে যান ইবরাহিম।
কিন্তু আফগান এই ওপেনারকে ঠিকই ফিরিয়ে দিলেন শরিফুল ইসলাম। সেই লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেই। সে সঙ্গে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানলেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
আফগানিস্তানের দলীয় ১৮ রানের মাথায় পড়লো প্রথম উইকেট। ১৭ বল খেলে ৬ রান করে আউট হন আফগান ওপেনার ইবরাহিম জাদরান।
এরপর আরেক ওপেনার আবদুল মালিককেও ফিরিয়ে দেন অন্য পেসার এবাদত হোসেন। ৭ম ওভারের ৫ম বলে আবদুল মালিকের ব্যাটের কোনায় লেগে বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। সেখানে জাকির হাসান ক্যাচ ধরেন। যদিও রিপ্লাই দেখে থার্ড আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। ২৪ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
১১ রানের জুটি গড়ে রহমত শাহ আউট হলেন এবাদতের বলে। তার হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা কোমর সমান বলটিকে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে মিডউইকেটে তাসকিনের হাতে গিয়ে জমা পড়ে। ৯ রানে আউট হন রহমত শাহ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩৮২ রানে। ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২০ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। ৪৮ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ৪৭ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম।
টেস্টের প্রথমদিন ১৪৬ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ৭৬ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। আফগান অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদ একাই নেন ৫ উইকেট।