রাজধানীর মতিঝিলে এক দশক (১০ বছর) আগে পুলিশ সদস্য বাদল মিয়াকে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রিপন নাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া গণজাগরণ মঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সে এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত শুক্রবার মিডিয়া ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ মামলা করেন।
পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় তাদের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে। তারা সন্দেহ করেন বাদল মিয়া থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। রিপনের আত্মীয় গোপালের নাম প্রকাশ করে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাদল মিয়াকে আসামিরা বাদল মিয়াকে কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্তর থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোড সংলগ্ন নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। মরদেহ গোপন করতে টিঅ্যান্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে রোডে ফেলে যায়।
২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জন বিভিন্ন সময় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।