প্রথম ইনিংসেও খেলেছিলেন দুর্দান্ত একটি ইনিংস। ১৪৬ রানের অসাধারণ সেঞ্চুরিটি করার পর নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। ৪০তম ওভারের প্রথম বলে হাশমত উল্লাহ শহিদিকে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি উদযাপন করেন শান্ত। প্রথম ইনিংসের মতোই দৌড়ে মাঠের একপাশে এসে মাথার হেলমেট খুলে ব্যাট এগিয়ে তিনি চুমু ছুঁড়ে দিলেন গ্যালারির উদ্দেশ্যে।
১১৫ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। দু’দিন আগে প্রথম ইনিংসে ১১৮ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। সেবার ১৪৬ রানে আউট হয়ে গেলেও এবার শান্ত কত রানে থামেন, সেটাই দেখার।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেট হারিয়ে ২২৮। ১০৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নাজমুল হাসান শান্ত। মুমিনুল হক ব্যাট করছেন ২৩ রান নিয়ে। বাংলাদেশের লিড ৪৬৪ রানের।
এর আগে কি অসাধারণ এক জুটি গড়ে তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হাসান। অথচ, সেই জুটিরই কিনা যবনিকাপাত ঘটলো একটি ঝুঁকি নিতে গিয়ে রানআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৭৩ রানের বিশাল এক জুটি গড়ার পর রানআউটে কাটা পড়ে বিদায় নিলেন জাকির হাসান। ৭১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন তিনি।
হাশমত উল্লাহ শহিদির করা ৩৫তম ওভারের ৩য় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করেন। নাসির জামাল বলটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাউন্ডারি বাঁচান। বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠান ইবরাহিম জাদরান। এরই মধ্যে তৃতীয় রান নিতে যান শান্ত। কিন্তু জাকির ক্রিজে পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন আফসার জাজাই। ৯৫ বল খেলে ৭১ রান করে আউট হন জাকির।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট এখন পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে। প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলেও আফগানদের দেড়শও করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৪৬ রানে অলআউট করে দিয়ে প্রথম ইনিংসেই লিড নিয়েছে ২৩৬ রানের।
দ্বিতীয় দিনই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার জাকির হাসান এবং টপ অর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে বাংলাদেশের লিডকে আফগানদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়ে যায় ছিল ৩৭০ রান। ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে আগের দিনের দৃঢ়তাই দেখাচ্ছেন শান্ত এবং জাকির। দু’জনের ব্যাটে চড়েই লিড পার হয়ে গেছে ৪০০ রান।
এর আগে টেস্টের প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য ১৪৬ রান এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ৭৬ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩৮২ রান। আফগানিস্তানের নিজাত মাসুদ নেন ৫ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে আফগানদের কোনো ব্যাটার ৪০ এর ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি। ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ৪ উইকেট নেন এবাদত হোসেন। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।