ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেছেন, সব ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ দেড় লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে এর দ্বিগুণ। ৩ লাখ কোটি ঋণ খেলাপি। বিভিন্নভাবে টাকা দিয়ে ব্যাংক আজ দেউলিয়া। এসব টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগসাজশ ছাড়া কেউ টাকা বিদেশে নিতে পারে না।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে টাকা পাচার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, করোনার চাপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চাপ, আইএমএফের শর্তের চাপ, ব্যাংক খাতের লুটপাটের চাপ। বহুমুখী চাপের মোকাবিলায় বাজেটের অগ্রযাত্রা নিরাপদ হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, বাজেটে ব্যাংকখাত থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এনবিআরকে অটোমেশন করলে আরও দেড় লক্ষ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় হতো। ব্যাংক ঋণের দরকার হতো না।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমরা চুরিতে, চাঁদাবাজিতে, টাকা পাচারে স্মার্ট হয়েছি। আমরা এখন আর টাকায় ঘুষ লেনদেন করি না। ডলারে ঘুষ নিয়ে, বিদেশে নিয়ে স্মার্ট হয়েছি।
তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে অনেকে মুজিব কোর্ট পরে বুকে সোনার নৌকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের অন্তরে মুজিব আদর্শ কতটুকু আছে জানি না। রাজনীতি চাটুকারদের দখলে চলে গেছে। যারা যত বেশি তেলমর্দন করে, টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠায়, রাজনীতিতে তারাই ততবেশি উন্নতি করে।