বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা বিদেশিদের কাছে যান না। মাঝে মাঝে বিদেশিরা তাঁদের ডাকেন।
রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বলে, আমরা খালি বিদেশিদের কাছে যাই। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, মাঝে মাঝে বিদেশিরা আমাদের ডাকে। জানতে চান যে দেশের কী অবস্থা, তোমরা কী করতে চাও, কী করবে?
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-ঘোষিত নীতি হলো, তিনি বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। সুতরাং তাঁরা তাঁদের কাজ করবেন। যেখানে গণতন্ত্র নেই, তাদের গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাকেন না তাঁরা। আবার তাঁরা নিষেধাজ্ঞাও দেন। তারা (বিএনপি) মনে করে, এখানে (বাংলাদেশ) জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এখানে ভোটের অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) কী করে গণতন্ত্র দেবে? তারা বারবার বলে, নির্বাচন দিচ্ছে, ভালো নির্বাচন হবে, কথা দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করবে কী করে যে তারা ভালো নির্বাচন দেবে? কোনো দিন আওয়ামী লীগ ভালো নির্বাচন করেছে ক্ষমতায় থেকে? কোনো দিন করেনি।
মানুষকে বোকা বানিয়ে বারবার ক্ষমতায় থাকা যায় না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, তুমি একবার-দুবার বোকা বানাতে পারো, বারবার হবে না। এবার মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর ‘স্ট্রিমরোলার’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মানুষের যদি জীবনযাত্রার মান উন্নত না হয়, খাদ্য যদি না থাকে, খাদ্যনিরাপত্তা যদি না থাকে, আয় যদি নিশ্চিত না হয়, সেটাকে উন্নয়ন বলা যায় কীভাবে? পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যায় গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, এই চেয়ারম্যান একজন আওয়ামী লীগের নেতা। আর যাঁরা গোলাম রব্বানিকে পিটিয়ে মেরেছেন, তাঁরাও আওয়ামী লীগের। এই বিষয়গুলো সাংবাদিকেরা বলছেন, তারাও (বিএনপি) বলছে। কিন্তু তাদের (সরকার) কানে যাচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম। বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম,শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক আবুল হাসনাত মোহা. শামীম।