বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ কাজে বিএনপি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে ব্যবহার করছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে মেরুকরণ হচ্ছে। পরস্পরবিরোধী মতের প্রদর্শন হচ্ছে। আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে একটি মহল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। নিজেরা ব্যর্থ হয়ে বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়। এজন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যাগে নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক কর্তৃত্বপূর্ণ, স্বাধীন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজকে এই বিরোধী দল, বিএনপির নেতৃত্বে তারা আসলে জানে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। তারা বোঝে শেখ হাসিনা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ, বাধাগ্রস্ত করাই তাদের এখন কাজ। এজন্য তারা প্রথমে বিদেশিদের কাছে নালিশে গেছে। এখন লবিস্ট নিয়োগ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে। সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর অপপ্রচারের সাথে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং। লড়াই করতে হবে অশান্তির বিরুদ্ধে। যাতে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে না পারে। অতীতের সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি যেন নির্বাচনি পরিবেশকে বিঘ্ন করতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমারা মাঠে থাকব। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব।
সংকট উত্তরণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই একমাত্র উপায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপির ব্যাপারটা হলো- তারা না জিতলে নির্বাচন কোনোদিন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মাসব্যাপী সাদামাটা, স্বতঃস্ফূর্ত ও বহুমাত্রিকভাবে উদযাপন করা হবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্য সম্পাদকরা।