আগামী ২৯ জুন পালিত হবে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা। যেটি আমাদের দেশে কোরবানির ঈদ নামেই বেশি পরিচিত। প্রতিবছরই এই উৎসবের পূর্বে সারাদেশের মহানগর, শহর, গ্রামগঞ্জে বসে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করেছে এধরনের হাট। কোরবানির পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছে বিক্রেতারা। কিন্তু পশুর হাট ঘিরে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। হাটের ইজারা থেকে শুরু করে হাটে পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও নানা দুর্ভোগের কথা গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হচ্ছে। সড়ক ও মহাসড়কে নানা স্তরের চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পশুর ট্রাক। এমতাবস্থায় পশু কিনতে বা পশু বিক্রির টাকা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা- তা নিয়েও উদ্বেগে আছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এতদ্ব্যতীত সড়ক ও মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র অবৈধভাবে হাট বসার ফলে ঈদ যাত্রায় দীর্ঘ যানজটে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন ঘরমুখো মানুষেরা।
এহেন পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি, পশুর হাট ঘিরে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সেগুলো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে সড়ক ও মহাসড়কে পশুর ট্রাকগুলো চলাচল নির্বিঘ্ন করা, দেশের কোথাও যাতে অবৈধভাবে কোনো পশুর হাট বসতে না পারে সেটি নিশ্চিত করা এবং বৈধ পশুর হাটগুলোতে যাতে কেউ অতিরিক্ত মাসুল আদায় না করতে সেদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি রাখার জোর দাবি জানাই।