আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কিছু অসাধুচক্র পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ (পাচার) করানোর জন্য তৎপর। এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশ পশুসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশীয় এ সম্পদ বিকাশের স্বার্থে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু পাচার রোধে বিজিবি দৃঢ় অবস্থানে।
আজ মঙ্গলবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু অসাধু গরু পাচারকারীচক্র বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা যেমন মন্ত্রণালয়/দপ্তরের ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি, ভুয়া পরিচয় ও বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু চালান ঢোকানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ অপতৎপরতা রোধে বিজিবি প্রস্তুত থেকে সীমান্তে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সীমান্তে দিয়ে অবৈধভাবে যাতে কোনো গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি আভিযানিক তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৭ জুন রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে একজন ব্যক্তি বিজিবির কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের (২২ বিজিবি) অধীন ধলডাঙ্গা কোম্পানিতে গিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অবৈধ গরু চালানের প্রস্তাব করে। সে জানায়, সীমান্তের ওপারে তার ৫ হাজার গরু বাংলাদেশে পাচারের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। গরু চোরাচালানের অবৈধ প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিজিবির ধলডাঙ্গা কোম্পানি তাকে আটক করে।
আটক করা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় জানায়। তার নাম মো. শামিম হাসান (৩২)। পরবর্তীতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
সম্প্রতি একটি অসাধুচক্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সই জাল করে বিট বা খাটাল স্থাপনের ভুয়া অনুমোদন পত্র তৈরি করে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনার অপচেষ্টা চালায়। বিষয়টি বিজিবির গোচরীভূত হলে বিজিবি কর্তৃক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই অসাধু ও প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।