পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনীয় সেনারা পরাস্ত করছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার রাতের ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়া যে সমস্ত অঞ্চল দখল করে রেখেছিল, তার বেশ কিছু অংশ পুনর্দখল করা সম্ভব হয়েছে।
তার দাবি, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পরাক্রমের সামনে পরাস্ত হচ্ছে রাশিয়ার সেনা।
অন্যদিকে রাশিয়ার অভিযোগ, পুনর্দখল অভিযান চালাতে গিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার বিভিন্ন শহর এবং গ্রামে আক্রমণ চালাচ্ছে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের ড্রোন আক্রমণে এক রাশিয়ার নারীর মৃত্যু হয়েছে। চারজন বেসামরিক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। ইউক্রেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
জেলেনস্কির ভাষায়, ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধের একমাত্র রাস্তা সন্ত্রাসীকে ধ্বংস করা। তাদের এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে তারা আর ভুল করেও ইউক্রেনের দিকে ফিরে না তাকায়।’
গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পুনর্দখল অভিযানে নেমেছে কিয়েভ। কিন্তু গোড়ার দিকে এবিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করছিলেন না জেলেনস্কি। সম্প্রতি এবিষয়ে তিনি মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
এদিন দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন ছাড়াও কিয়েভ নিয়ে কথা বলেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার লাগাতার চারঘণ্টা ধরে রাজধানীতে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু অ্যান্টি মিসাইল শিল্ড দিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছে, কিয়েভের একটি সামরিক ঘাঁটি তারা ধ্বংস করেছে।
এদিকে রাশিয়ার জাতীয় সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, দেশের সামরিক বাহিনীর হাতে দুইটি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার মতো সাবমেরিন এসেছে। দেশের সামরিক জাহাজ তৈরির সংস্থা সাবমেরিন দুইটি সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।
তবে রাশিয়া এই সাবমেরিন এখনই যুদ্ধে নামাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। বস্তুত, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়া ইতোমধ্যেই সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে। কৃষ্ণসাগর থেকে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের বন্দর শহরগুলোর যথেষ্ট ক্ষতিও করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।