প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পেয়েছে। যতবার হেরেছে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে তখনই জনগণের বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তা প্রমাণিত। এ নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক৷
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগণের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে নিজের পদায়ন আর রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল, এরশাদও সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা গণতান্ত্রিক ধারার লঙ্ঘন করেছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধার করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের দল, কানাডার আদালত এ রায় দিয়েছে। বিএনপির ২০১৪ ও ২০১৮ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মানুষ ভুলে যায়নি। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায় নেই। বিএনপির আমলে খাম্বা ছিল, বিদ্যুৎ ছিল না। খুনি-সন্ত্রাসীদের দল বিএনপির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই জমি আবাদ করুন। কারো কাছে যেন হাত পাততে না হয়। আমাদের এখনো যথেষ্ট রিজার্ভ আছে।