আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টিআইবি জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও টিআইবিকে জড়িয়ে পরপর দুই দিন ওবায়দুল কাদেরের ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে’ ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ তোলা হয়, সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব বিষয়ের দায় ওবায়দুল কাদের টিআই ও টিআইবির ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘অন্যায় ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ এমনটা করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টিআই বা টিআইবির সঙ্গে দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই—এমন সব বিষয়ের দায় অন্যায় ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হওয়া সেতুমন্ত্রীর জন্য আত্মঘাতী ও বিভ্রান্তিকর অবস্থানের পরিচায়ক।
গত মঙ্গলবারও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি নিজের অবস্থান জানায়। একইদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনার সঙ্গে টিআই বা টিআইবিকে সম্পৃক্ত করে আবারও সেতুমন্ত্রীকে মিথ্যাচার করতে দেখা যায় বলে আজকের বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সেতুমন্ত্রী একধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। চিঠিতে আমরা তাকে জানিয়েছি, তিনি আমাদের ক্রমাগত এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন, যার সঙ্গে টিআই বা টিআইবির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে তার কাছ থেকে এমন মিথ্যাচার অনভিপ্রেত।
তিনি আরও বলেন, চিঠিতে সেতুমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্য একটি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয়। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে টিআই বা টিআইবিকে দায়ী করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর।
বিএনপির সঙ্গে টিআই/টিআইবির সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগও ‘পুরোপুরি অমূলক’ উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনা নিয়ে টিআই/টিআইবি নয় বরং অন্য একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল এবং বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন, যা মন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়।