বাংলাদেশের বিতর্কিত ধর্মীয় বক্তা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর লন্ডনে একটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি কনফারেন্স হলে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জুন) এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের মূলধারার গণমাধ্যম জিবি নিউজে আব্বাসীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার এবং তাতে তার বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা প্রচারের’ অভিযোগ ওঠে। এরপর নিউহাম কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ তার ওই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জাকির নায়েক, মিজানুর রহমান আজহারীর পর এবার এনায়েত আব্বাসী যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে লন্ডনপ্রবাসী বাঙালিদের অনেকে মনে করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই অন টিভির আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্যে পাঁচটি ধর্মীয় সভায় যোগ দিতে লন্ডনে যান আব্বাসী।
ইতিমধ্যে নর্থাম্পটন, বার্মিংহাম ও লিডসে তিনটি সভা করেছেন তিনি। তার যুক্তরাজ্যে এভাবে সভা করার মধ্যে হঠাৎ করে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যম জিবি নিউজে তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। সাবেক ইউকিপ নেতা ও ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের বহুল আলোচিত ব্যক্তি নাইজেল ফারাজ জিবি নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর সভা করার বিষয়টি সামনে আনেন।
সেখানে তালেবান নেতা ওসামা বিন লাদেন ও মোল্লা ওমরের পক্ষে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বক্তব্য তুলে ধরে তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ হোম অফিসের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। চার্লি পিটার নামের যে সাংবাদিক আব্বাসীকে নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তৈরি করেন, তাকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চার্লি সেখানে উল্লেখ করেন, এনায়েত আব্বাসী কীভাবে তার বক্তব্যে ব্রিটেনের রানিকে ‘শয়তান’ বলেছেন এবং ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে তিনি কীভাবে বিষোদগার করেছেন। ২০ জুন বার্মিংহামে আব্বাসীর অনুষ্ঠান চলাকালে জিবি নিউজে ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
আব্বাসীকে লন্ডনে নেওয়া আইওন টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আতাউল্লাহ ফারুক বলেন, আব্বাসীর যুক্তরাজ্যে পাঁচটি ইসলামিক কনফারেন্স ছিল। ইতিমধ্যে কোনো সমস্যা ছাড়া নর্থাম্পটন, বার্মিংহাম ও লিডসে উনার পোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু লন্ডনের অনুষ্ঠান নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশের অনুরোধে আমরা স্থগিত করেছি।