বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের যমুনা নদীর দুর্গম চরে ১৪ বছর আগে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। ভবনটি নদীভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এটি রক্ষা করতে পাঁচ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে ব্যয় হচ্ছে ২২ লাখের বেশি টাকা।
দরপত্র ছাড়াই গত মঙ্গলবার থেকে পাউবোর তত্ত্বাবধানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম চলছে। পাউবো বগুড়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এবং নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হকের তত্ত্বাবধানে এ কাজ চলছে।
নাজমুল হক বলেন, বিদ্যালয় ভবন রক্ষায় তাৎক্ষণিক ভাঙন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নদীতীরে মোট পাঁচ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। প্রতিটি ব্যাগ ফেলতে ব্যয় হচ্ছে ৪৪২ টাকা। সে হিসাবে ৫ হাজার জিও টেক্সট ব্যাগ ফেলতে ঠিকাদারকে বিল গুনতে হবে ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন থেকে বিদ্যালয় ভবন রক্ষা করতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন ঠিকাদারের লোকজন। ঠিকাদারদের তিনজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একজন সারিয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী।
অন্য দুজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মমতাজুর রহমান এবং সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবদুল কাফি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক বলেন, শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবোকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যালয় ভবন রক্ষার চেষ্টা করছে।