একটি পুড়ে যাওয়া দেহের সঙ্গে থাকা পোড়া ব্যাগে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া কিছু কাগজপত্র দেখে পুলিশ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় খুঁজে পায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, দাউদাউ করে জ্বলা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সাতজনের মরদেহ। মরদেহগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে চেহারাও বিকৃত রূপ ধারণ করে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান। তিনি সেখানে অর্ধেক পোড়া ব্যাগের মধ্যে থাকা কাগজপত্রের সঙ্গে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন ও হাসপাতালের কিছু কাগজপত্র খুঁজে পান। সে কাগজপত্র থেকেই মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায় সব মরদেহের পরিচয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এ সময় গাড়ির মধ্যে একটি মরদেহের পাশে থাকা অর্ধেক পুড়ে যাওয়া একটি ব্যাগে কিছু কাগজপত্র পাওয়া যায়। ব্যাগের মধ্যে একটি এনআইডি, জন্মনিবন্ধনসহ কিছু কাগজের সন্ধান পেয়ে তার সাহায্যে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়।
শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে এক্সপ্রেসওয়েতে চলন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্স পাশের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন পুড়ে মারা যান। আর একমাত্র জীবিত ব্যক্তি হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সচালককে উদ্ধার করে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন নারী ও চার শিশু, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ আটজন নিহত হন।