কিলিয়ান এমবাপে আর প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) থাকছেন না, সেটা নিশ্চিত। কেননা ১২ মাসের চুক্তি বৃদ্ধির কাগজে সই করেননি ফরাসি তারকা। তাই তাকে আগামী মৌসুমে ছেড়েই দিতে হবে পিএসজির।
তবে পিএসজি চাইছে না এমবাপের মতো বড় তারকাকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ছেড়ে দিতে। তাই তাকে আগেভাগেই চড়া দামে বিক্রি করতে চায় ফরাসি ক্লাবটি। এদিকে রিয়াল মাদ্রিদ খুব করে চাইছে এমবাপেকে। তা নিয়ে চলছে দর কষাকষি।
জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘পিএসজি কমিউনিটি’ দাবি করছে, এমবাপেকে নিতে নাকি ২৫০ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি হয়েছে রিয়াল। যদি সত্যিই তেমনটা হয়ে থাকে, তবে এমবাপের দলবদল হবে সবচেয়ে দামি, বিশ্বরেকর্ড।
ফরাসি পত্রিকাটি জানাচ্ছে, পিএসজির কাতারি মালিক এবং রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিনিধিদের মধ্যে বুধবার একটি মিটিং হয়েছে। এবং আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।
পিএসজি কমিউনিটির তথ্য অনুসারে, এমবাপের মূল্য ধরা হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ইউরো। ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার বোনাস ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে পাবেন আরও ৫০ মিলিয়ন ইউরো।
যদি এই প্রতিবেদন সত্য হয় এবং রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এমবাপের চুক্তি হয়ে যায়, তবে নেইমারের বিশ্বরেকর্ড ট্রান্সফারের রেকর্ড ভেঙে দেবেন ফরাসি তারকা। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছিল পিএসজি।
সেই বছরই মোনাকো থেকে লোনে পিএসজিতে এসেছিলেন এমবাপে। এরপরেই ২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। সেই সময়ে তাকে দলে পেতে ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও ৩৫ মিলিয়ন ইউরো বছরে অতিরিক্ত দিতে হয়েছিল পিএসজিকে।
রিয়ালের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে পিএসজির মালিকদের এমবাপের দলবদলের বিষয়ে দীর্ঘ বার্তালাপ হয়েছে। প্রথমে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। যা এই মুহূর্তে ২৫০ মিলিয়ন ইউরোতে গিয়ে ঠেকেছে।
তবে পিএসজি নাকি ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর নিচে এই চুক্তি করতে এখনও রাজি নয়। যার মধ্যে রয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর স্থায়ী চুক্তি। তার পাশাপাশি ৫০ মিলিয়ন ইউরো থাকছে বোনাস হিসেবে।